Latest

Showing posts with label বাংলা ব্যাকরণ. Show all posts
Showing posts with label বাংলা ব্যাকরণ. Show all posts

Friday, April 22, 2022

April 22, 2022

Bengali Banjonsondhi Free PDF Download ।। বাংলা ব্যাঞ্জনসন্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা

 Bengali Banjonsondhi Free PDF Download

Bengali Banjonsondhi Free PDF Download
Bengali Banjonsondhi Free PDF Download


নমস্কার বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করছি Bengali Banjonsondhi Free PDF Download ।। বাংলা ব্যাঞ্জনসন্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ।
 
আশা করছি বন্ধুরা বাংলা ব্যাঞ্জনসন্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা এই বিষয়টি তোমাদের খুব কাজে আসবে কারো বিভিন্ন পরীক্ষায় এখান থেকে নানান প্রশ্ন এসে থাকে । তাই বন্ধুরা দেরি না করে পড়ে নাও Bengali Banjonsondhi । আর প্রয়োজনে নীচের ডাউনলোড লিঙ্ক থেকে Bengali Banjonsondhi PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিজের কাছে রেখে দাও ।

বাংলা সন্ধি

ব্যঞ্জনসন্ধি

১। ব্যঞ্জনসন্ধি কাকে বলে ?
উঃ- ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনির অথবা ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির কিংবা স্বরধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।
উদাহরণ - দিক্ + অন্ত = দিগন্ত

বর্ণ বিশ্লেষণ করলে হয় -
দ+ই+ক+অ+ন+ত+অ - প্রথম পদের শেষে থাকা ব্যঞ্জনবর্ণ 'ক' এর সঙ্গে পরপদের প্রথমে থাকা স্বরবর্ণ 'অ' এর সন্ধি হয়ে ‘গ’ হয়েছে ।

 স্বরসন্ধির মত ব্যঞ্জনসন্ধিরও বেশ কতকগুলি সূত্র আছে যেগুলি জানলে আমাদের সমস্ত প্রকার ব্যঞ্জনসন্ধি আয়ত্তে এসে যাবে সেই সূত্রগুলি নিম্নে বর্ণিত হল -

ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি
সূত্র - ১ : পূর্বপদ এর শেষ ধ্বনি যদি বর্গের প্রথম ধ্বনি অর্থাৎ ক্, চ্, ট্, ত্, প্ হয় এবং পরবর্তী শব্দের প্রথম ধ্বনিটি যদি বর্গের তৃতীয়(গ্, জ্, ড্, দ্, ব্), চতুর্থ(ঘ্, ঝ্, ঢ্, ধ্, ভ), পঞ্চমধ্বনি(ঙ, ঞ, ণ, ন, ম) অথবা য্, র্, ল্, ব্, হ্ হয় তাহলে পূর্ববর্তী বর্গের প্রথম ধ্বনি বা বর্ণের স্থানে সেই বর্গের তৃতীয় ধ্বনি বা বর্ণ হয়।
উদাহরণ -
বাক্ + দান = বাগদান 
ঋক + বেদ = ঋগ্বেদ
সৎ + ভাব = সদ্ভাব

সূত্র - ২ : পূর্বপদ এর শেষে যদি বর্গের প্রথম ধ্বনি অর্থাৎ ক্, চ্, ট্, ত্, প্ থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি যদি বর্গের পঞ্চম ধ্বনি অর্থাৎ ঙ, ঞ, ণ, ন, ম থাকে তাহলে পূর্বপদের শেষে থাকা বর্ণগুলি সেই বর্গেরই পঞ্চম বর্ণে রূপান্তরিত হয়।
উদাহরণ -
বাক্ + ময় = বাঙময়
জগৎ + নাথ = জগন্নাথ
চিৎ + ময় = চিন্ময়

সূত্র - ৩ : পূর্বপদের শেষে 'ম্' এবং পরপদের প্রথমে 'ন্' থাকলে দুইয়ে মিলে 'ন্ন' হয়।
উদাহরণ -
সম্ + নিহিত = সন্নিহিত
সম্ + ন্যাস = সন্ন্যাস

সূত্র - ৪ : পূর্বপদ-এর শেষ বর্ণ 'ত্' বা 'দ্' হলে এবং পরপদের প্রথম বর্ণ 'হ' হলে সন্ধিবদ্ধ অবস্থায় দুটি বর্ণই পৃথক রূপ ধারণ করে। 'ত্' বা 'দ্' হয়ে যায় 'দ্' এবং 'হ' হয় 'ধ' । উভয় মিলে 'দ্ধ' হয়।
উদাহরণ -
উৎ + হার = উদ্ধার
উৎ + হৃতি = উদ্ধৃতি

সূত্র - ৫ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ত্' বা 'দ্' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'চ' বা 'ছ' থাকে তাহলে 'ত্' বা 'দ্' স্থানে 'চ্' হয়। এবং পরপদে থাকা 'চ' বা 'ছ'- এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে 'চ্চ' বা 'চ্ছ' হয়।
উদাহরণ -
সৎ + চরিত্র = সচ্চরিত্র
চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র
উৎ + চারণ = উচ্চারণ
উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ

সূত্র - ৬ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ত্' বা 'দ্' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'জ' বা 'ঝ' থাকে তাহলে 'ত্' বা 'দ্' স্থানে 'জ' হয়। এবং পরপদে থাকা 'জ' বা 'ঝ'- এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে 'জ্জ' বা 'জ্ঝ' হয়।
উদাহরণ -
উৎ + জ্বল = উজ্জ্বল
কুৎ + ঝটিকা = কুজ্ঝটিকা
যাবৎ + জীবন = যাবজ্জীবন

সূত্র - ৭ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ত্' বা 'দ্' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ট' বা 'ঠ' থাকে তাহলে 'ত্' বা 'দ্' স্থানে 'ট' হয়। এবং পরপদে থাকা 'ট' বা 'ঠ'- এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে 'ট্ট' বা 'টঠ' হয়।
উদাহরণ -
তদ্ + টীকা = তট্টীকা
বৃহৎ + ঠাকুর = বৃহটঠাকুর

সূত্র - ৮ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ত্' বা 'দ্' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ড্' থাকে তাহলে 'ত্' বা 'দ্' স্থানে 'ড্' হয়। এবং পরপদে থাকা 'ড্'- এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে 'ড্ড' হয়।
উদাহরণ -
উৎ + ডীন = উড্ডীন
উৎ + ডয়ন = উড্ডয়ন

সূত্র - ৯ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ত্' বা 'দ্' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ল' থাকে তাহলে 'ত্' বা 'দ্' স্থানে 'ল্' হয়। এবং পরপদে থাকা 'ল্'- এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে 'ল্ল' হয়।
উদাহরণ -
উৎ + লিখিত = উল্লিখিত
তদ্ + লোক = তল্লোক

সূত্র - ১০ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ত্' বা 'দ্' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'শ' থাকে তাহলে 'ত্' বা 'দ্' স্থানে 'চ্' হয়। এবং 'শ্'- এর জায়গায় 'ছ' হয়।
উদাহরণ -
উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস
উৎ + শৃঙ্খল = উচ্ছৃঙ্খল

সূত্র - ১১ : পূর্বপদের শেষে যদি 'চ' বা 'জ' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ণ' বা 'ন' থাকে তাহলে 'ণ' বা 'ন' স্থানে 'ঞ' হয়।
উদাহরণ - 
যজ্ + ন = যজ্ঞ 
রাজ + নী = রাজ্ঞী

সূত্র - ১২ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ন' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'শ', 'ষ', 'স' কিংবা 'হ' থাকে তাহলে 'ন' স্থানে 'ং' হয়।
উদাহরণ -
হিন্ + সা = হিংসা
দন্ + শন্ = দংশন

সূত্র - ১৩ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ষ্' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ত' বা 'থ' থাকে তাহলে তা যথাক্রমে 'ট' এবং 'ঠ' - এ রূপান্তরিত হয়।
উদাহরণ -
বৃষ + তি = বৃষ্টি
ষষ্ + থ = ষষ্ঠ

সূত্র - ১৪ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ত্ (ৎ)' বা 'দ্' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ন' বা 'ম' থাকে তাহলে 'ত' এবং 'দ' স্থানে 'ন' হয়।
উদাহরণ -
মৃৎ + ময় = মৃন্ময়
জগৎ + নাথ = জগন্নাথ

সূত্র - ১৫ : পূর্বপদ এর শেষে যদি বর্গের প্রথম ধ্বনি (ক্, চ্, ট্, ত্, প্) থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ন' থাকে তাহলে প্রথম ধ্বনি বা বর্ণের স্থানে সেই বর্গেরই তৃতীয় বা পঞ্চম ধ্বনি হয়।
উদাহরণ - 
দিক্ + নাঙ = দিকনাঙ

সূত্র - ১৬ : পূর্বপদ-এর শেষে যদি বর্গের প্রথম ধ্বনি থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ম্' থাকে তাহলে প্রথম ধ্বনির জায়গায় সেই বর্গেরই তৃতীয় বা পঞ্চম ধ্বনি হয়।
উদাহরণ -
ষট্ + মাত্র = ষণ্মাত্র
প্রাক্ + মাতা = প্রাগমাতা

সূত্র - ১৭ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ম' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি অন্তঃস্থ ধ্বনি (য্, র্, ল্, ব্) বা উষ্মধ্বনি (শ্, ষ্, স্, হ্ )থাকে তাহলে 'ম' স্থানে 'ং' হয়।
উদাহরণ -
সম্ + হার = সংহার
কিম্ + বা = কিংবা
প্রিয়ম্ + বদা = প্রিয়ংবদা

সূত্র - ১৮ : পূর্বপদের শেষে যদি 'সম্' উপসর্গ থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'কৃত' বা 'কার' থাকে তাহলে 'ম' স্থানে 'ং' হয় এবং 'স' - এর আগম ঘটে।
উদাহরণ -
সম্‌ + কৃত = সংস্কৃত
সম্‌ + করণ = সংস্করণ

সূত্র - ১৯ : পূর্বপদের শেষে যদি 'পরি' উপসর্গ থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'কৃত' বা 'কার' থাকে তাহলে 'ষ' - এর আগম ঘটে।
উদাহরণ –
পরি + কার = পরিষ্কার
পরি + কৃত = পরিষ্কৃত

সূত্র - ২০ : পূর্বপদের শেষে যদি বর্গের তৃতীয় বা চতুর্থ ধ্বনি থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি বর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় ধ্বনি কিংবা 'শ' , 'ষ' , 'স' থাকে তাহলে তৃতীয় বা চতুর্থ ধ্বনির জায়গায় সেই বর্গেরই প্রথম ধ্বনি বা বর্ণ হয়।
উদাহরণ -
তদ্ + কাল = তৎকাল
ক্ষুধ্ + পিপাসা = ক্ষুৎপিপাসা ( এখানে 'ৎ' - কে 'ত' হিসেবে ধরা হয়ে থাকে )

‌‌ স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি

সূত্র : পূর্বপদের শেষে যদি 'অ', 'আ', 'ই', বা 'উ' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'ছ' থাকে তাহলে 'ছ'-এর জায়গায় চ্ছ' হয় ।
উদাহরণ -
অনু + ছেদ = অনুচ্ছেদ
তরু + ছায়া = তরুচ্ছায়া
ভাষা + ছন্দ = ভাষাচ্ছন্দ
মুখ + ছবি = মুখচ্ছবি

ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি

সূত্র : পূর্বপদের শেষে যদি বর্গের প্রথম ধ্বনি বা বর্ণ থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি কোন স্বরধ্বনি থাকে তাহলে বর্গের প্রথম ধ্বনি বা বর্ণের স্থানে সেই বর্গেরই তৃতীয় বর্ণ হয় ।
উদাহরণ -
অচ্ + অন্ত = অজন্ত
বাক্ + ঈশ্বরী = বাগীশ্বরী
ষট্ + আনন = ষড়ানন
পৃথক্ + অন্ন‌ = পৃথগন্ন

নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি

এতক্ষণ আমরা সূত্র অনুযায়ী ব্যঞ্জনসন্ধি শিখলাম কিন্তু কিছু কিছু ব্যঞ্জনসন্ধি আছে যেগুলি কোন সূত্র মেনে হয় না এদের বলা হয় নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি। এগুলি ব্যতিক্রমী।
উদাহরণ -
বন + পতি = বনস্পতি
বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি
মনস্ + ইষা = মনীষা
হিনস্ + অ = সিংহ
আ + পদ = আস্পদ
গো + পদ = গোষ্পদ
আ + চর্য = আশ্চর্য
বিশ্ব + মিত্র = বিশ্বামিত্র
পর + পর = পরস্পর
এক + দশ = একাদশ
প্রায় + চিত্ত = প্রায়শ্চিত্ত
দিব্ + লোক = দ্যুলোক
ষট্ + দশ = ষোড়শ
হরি + চন্দ্র = হরিশচন্দ্র
পুমস্ + লিঙ্গ = পুংলিঙ্গ

খাঁটি বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি
বেশ কিছু বাংলা সন্ধি আছে যেগুলি সংস্কৃত সন্ধির নিয়ম মেনে হয় না সেগুলিকে খাঁটি বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি বলা হয়।

স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি
সূত্র: খাঁটি বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধির ক্ষেত্রে পূর্ব পদের শেষে থাকা স্বরধ্বনিটি লোপ পায়।
উদাহরণ -
কাঁচা + কলা = কাঁচকলা
মিশি + কালো = মিশকালো
ঘোড়া + দৌড় = ঘোড়দৌড়
মাসি + তুতো = মাসতুতো

ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি
সূত্র - ১ : খাঁটি বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধির ক্ষেত্রে পূর্ব পদে থাকা ব্যঞ্জন ধ্বনি বা বর্ণটি লোপ পায়।
উদাহরণ -
জগৎ + বন্ধু = জগবন্ধু ( সংস্কৃতে - জগদ্বন্ধু)
জগৎ + জীবন = জগজীবন ( সংস্কৃতে - জগজ্জীবন)

সূত্র - ২ : পূর্বপদের শেষে যদি বর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় ধ্বনি থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি বর্গের তৃতীয় বা চতুর্থ ধ্বনি থাকে তাহলে বর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় ধ্বনির জায়গায় সেই বর্গেরই তৃতীয় ধ্বনি বা বর্ণ হয়।
উদাহরণ -
পাঁচ + জন = পাঁজ্জন
ডাক্ + ঘর = ডাগঘর

সূত্র - ৩ : পূর্বপদের শেষে যদি বর্গের তৃতীয় বা চতুর্থ ধ্বনি কিংবা 'ন' থাকে তাহলে সন্ধির সময় সেই বর্গেরই পঞ্চম ধ্বনি বা বর্ণ হয়।
উদাহরণ -
রাঁধ্ + না = রান্না
কাঁদ্ + না = কান্না

সূত্র - ৪ : পূর্বপদ এর শেষে যদি 'র্' থাকে তাহলে পরপদের প্রথমে থাকা ব্যঞ্জনধ্বনিটির দ্বিত্ব হয়।
উদাহরণ -
কর্ + তাল = কত্তাল
চার + দিক = চাদ্দিক

সূত্র - ৫ : পূর্বপদের শেষে যদি 'চ' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'স্' বা 'শ্' থাকে তাহলে 'চ্' ধ্বনির জায়গায় 'স্' বা 'শ্' হয়।
উদাহরণ -
পাঁচ্ + শ = পাঁশশ
পাঁচ্ + সের = পাঁসসের

সূত্র - ৬ : পূর্বপদের শেষে যদি 'ৎ (ত্)' থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি 'স্' থাকে তাহলে উভয়ে মিলে 'চ্ছ' হয়।
উদাহরণ -
বৎ + সর = বচ্ছর
কুৎ + সিত = কুচ্ছিত

আজকের PDF টি ডাউনলোড করতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করো - Download PDF Here

ধন্যবাদ

যেকোনো চাকরীর পরীক্ষার স্টাডি মেটিরিয়ালস বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে আসুন আমাদের সাইটে । এখানে আপনারা বিনামূল্যে সমস্ত PDF ফাইল ডাউনলোড করতে পারেন ।

 

Thursday, April 21, 2022

April 21, 2022

Bengali Sorosondhi Free PDF Download ।। বাংলা স্বরসন্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা

 Bengali Sorosondhi Free PDF Download

Bengali Sorosondhi Free PDF Download
Bengali Sorosondhi

নমস্কার বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করব Bengali Sorosondhi Free PDF Download ।। বাংলা স্বরসন্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ।
আশা করছি তোমাদের কাজে আসবে । ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট করো আর প্রয়োজনে নীচের লিঙ্ক থেকে PDF টি সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখে দাও । দেখে নাও BENGALI SOROSONDHI ।



বাংলা সন্ধি

১। সন্ধি কাকে বলে ?
উঃ- সন্ধি হল দুটি পদের মিলন । পূর্বপদের শেষ ধ্বনি এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি পরস্পর মিলিত হয়ে শব্দ তৈরি করার যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াকে বলে সন্ধি।

২। সন্ধি বিচ্ছেদ কাকে বলে ?
উঃ- সন্ধিবদ্ধ কোন শব্দকে যখন দুটি পদে বিভক্ত করে দেখানো হয় তখন তাকে বলে সন্ধি বিচ্ছেদ।

সন্ধির ক্ষেত্রে যে দুটি বর্ণের সন্ধি হয় তাদের প্রথম টিকে পূর্ববর্ণ এবং পরেরটিকে পরবর্ণ বলে।

৩। বাংলা ভাষায় সন্ধি কয় প্রকার ও কি কি ?
উঃ- বাংলা ভাষায় সন্ধি প্রধানত তিন প্রকার। যথা - (১) স্বরসন্ধি । (২) ব্যঞ্জন সন্ধি । (৩) বিসর্গ সন্ধি।

স্বরসন্ধি

১। স্বরসন্ধি কাকে বলে ?

উঃ- স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকেই বলা হয় স্বরসন্ধি।
উদাহরণ - নীল + আকাশ = নীলাকাশ

বর্ণ বিশ্লেষণ করলে হয় = ন+ঈ+ল+অ+আ+ক+আ+শ+অ - প্রথম পদের শেষ বর্ণ ‘অ’ এর সঙ্গে পরপদের প্রথম বর্ণ ‘আ’ এর সন্ধি হয়ে ‘আ’ হয়েছে {অ + আ = আ(া)}।

 স্বরসন্ধির বেশ কতকগুলি সূত্র আছে যেগুলি জানলে আমাদের সমস্ত প্রকার স্বরসন্ধি আয়ত্তে এসে যাবে সেই সূত্রগুলি নিম্নে বর্ণিত হল -

একই বর্ণের সন্ধির ক্ষেত্রে সেই বর্ণের দীর্ঘরূপ ব্যবহৃত হয় , যেমন - অ+অ=আ/ই+ই=ঈ/উ+উ=ঊ এছাড়াও - অ+আ= আ / আ+অ=আ / ই+ঈ=ঈ /ঈ+ই=ঈ / উ+ঊ=ঊ / ঊ+উ=ঊ হয়।

সূত্র - ১ : ‘অ’- কার কিংবা 'আ'- কারের পর 'অ'- কার কিংবা 'আ'-কার থাকলে সন্ধিবদ্ধ অবস্থায় "আ" হয়ে যায়। 'আ'-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।

উদাহরণঃ - 
 অ +অ = আ                                            
জীব + অনু = জীবাণু 
  
অন্য + অন্য = অন্যান্য  
অ+আ = আ
জল + আশয় = জলাশয়
গ্রন্থ + আগার = গ্রন্থাগার
আ+আ = আ
বিদ্যা + আয়তন = বিদ্যায়তন
পরীক্ষা + আগার = পরীক্ষাগার

সূত্র - ২ : 'ই' - কার কিংবা 'ঈ'-কারের পর 'ই'-কার কিংবা দীর্ঘ 'ঈ'-কার থাকলে উভয়ে মিলে 'ঈ'-কার হয় । ওই 'ঈ'-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।
উদাহরণঃ - 
 ই + ই = ঈ 
গিরি + ইন্দ্র = গিরীন্দ্র 
অতি + ইব = অতীব 
ই + ঈ = ঈ
পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা
অধি + ঈশ = অধীশ
ঈ + ই = ঈ 
বলী + ইন্দ্র = বলীন্দ্র 
মহী + ইন্দ্র = মহীন্দ্র 
ঈ + ঈ = ঈ
গোপী + ঈশ্বর = গোপীশ্বর
মহী + ঈশ্বর = মহীশ্বর

সূত্র - ৩ : 'উ' -কার কিংবা 'ঊ'-কারের পর 'উ'-কার কিংবা 'ঊ' -কার থাকলে উভয়ে মিলে 'ঊ' -কার হয়। ওই 'ঊ' -কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।
উদাহরণঃ - 
 উ+উ = ঊ 
ভানু + উদয় = ভানূদয় 
কটু + উক্তি = কটূক্তি 
উ+ঊ = ঊ
তনু + ঊর্ধ্ব = তনূর্ধ্ব
লঘু + ঊর্মি = লঘূর্মি

সূত্র - ৪ : 'অ' -আর কিংবা 'আ'-কারের পর 'ই'-কার বা 'ঈ'-কার থাকলে উভয়ে মিলে 'এ'-কার হয়ে যায়। এবং সেই 'এ'-কার পূর্ববর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়।
উদাহরণঃ - 
অ + ই = এ 
দেব + ইন্দ্র = দেবেন্দ্র 
শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা 
অ + ঈ = এ
গণ + ঈশ = গণেশ
পরম + ঈশ্বর = পরমেশ্বর
আ + ই = এ 
মহা + ইন্দ্র = মহেন্দ্র 
যথা + ইষ্ট = যথেষ্ট 
আ + ঈ = এ
মহা + ঈশ = মহেশ
মহা + ঈশ্বর = মহেশ্বর

সূত্র - ৫ : 'অ' কার কিংবা 'আ' কারের পর উ- কার কিংবা ঊ- কার থাকলে উভয়ে মিলে 'ও' কার হয় এবং সেই 'ও' কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।
উদাহরণঃ - 
অ + উ = ও 
সূর্য + উদয় = সূর্যোদয় 
মাঘ + উৎসব = মাঘোৎসব 
অ+ঊ = ও
গৃহ + ঊর্ধ্ব = গৃহোর্ধ্ব
চল + ঊর্মি = চলোর্মি
আ + উ = ও 
মহা + উৎসব = মহোৎসব 
গঙ্গা + উদক = গঙ্গোদক
আ + ঊ = ও
মহা + ঊর্মি = মহোর্মি

সূত্র - ৬ : 'অ' কার কিংবা 'আ' কারের পর ঋ- কার থাকলে উভয়ে মিলে 'অর্' হয় । 'অর্' - এর 'অ' পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় এবং 'র্' 'রেফ' হয়ে পরবর্ণের মস্তকে যুক্ত হয়।
উদাহরণঃ - 
অ + ঋ = অর্ 
দেব + ঋষি = দেবর্ষি 
সপ্ত + ঋষি = সপ্তর্ষি 
আ + ঋ = অর্
রাজা + ঋষি = রাজর্ষি
উত্তম + ঋণ = উত্তমর্ণ

করণ তৎপুরুষ সমাসে 'অ'-কার কিংবা 'আ'-কারের পর 'ঋত' শব্দ থাকলে 'অ' কিংবা 'আ' এবং 'ঋ' মিলে 'আর্' হয়, 'আ' পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় এবং 'র' 'রেফ' হয়ে পরবর্ণের মস্তকে যুক্ত হয় ।
যেমন - শীত + ঋত = শীতার্ত ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত

সূত্র - ৭ : 'অ' কার কিংবা 'আ' কারের পর 'এ'- কার কিংবা 'ঐ'- কার থাকলে উভয়ে মিলে 'ঐ' কার হয় এবং সেই 'ঐ' কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।
উদাহরণঃ – 
অ + এ = ঐ  
জন + এক = জনৈক  
সর্ব + এব = সর্বৈব 
অ + ঐ = 
মত + ঐক্য = মতৈক্য
রাজ + ঐশ্বর্য = রাজৈশ্বর্য
আ + ঐ = ঐ
মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্য
আ + এ = ঐ 
তথা + এব = তথৈব
সদা + এব = সদৈব

সূত্র - ৮ : 'অ' কার কিংবা 'আ' কারের পর 'ও'- কার কিংবা 'ঔ'- কার থাকলে উভয়ে মিলে 'ঔ' কার হয় এবং সেই 'ঔ' কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।
উদাহরণঃ - 
অ + ও = ঔ 
বন + ওষধি = বনৌষধি  
জল + ওকা = জলৌকা
অ + ঔ = ঔ 
হিত + ঔষধ = হিতৌষধ
আ + ও = ঔ
মহা + ওষধি = মহৌষধি
আ + ঔ =  
মহা + ঔষধ = মহৌষধ

সূত্র - ৯ : 'ই' ,'ঈ' ভিন্ন স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'ই' বা 'ঈ' এর স্থানে 'য্' হয় আর এই 'য্' ( য-ফলা হয়ে ) পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় ও পরের স্বর 'য্-ফলা' যুক্ত হয়ে বর্ণের সাথে মিলিত হয়।

 ই + অ = য / ই + আ = যা / ই + উ = যু / ই + ঊ = যূ / ই + এ = যে / ই + ঐ = যৈ / ঈ + অ = য / ঈ + আ = যা ।
উদাহরণঃ-
ই + অ = য   
যদি + অপি = যদ্যপি   
প্রতি + অহ = প্রত্যহ  
অতি + উচ্চ = অত্যুচ্চ
ই + আ = যা
ইতি + আদি = ইত্যাদি
অতি + আচার = অত্যাচার
ই + উ = যু
ই+ঊ = যূ
প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ
ই + এ = মে
প্রতি + এক = প্রত্যেক
ই + ঐ = যৈ
  
অতি + ঐশ্বর্য = অত্যৈশ্বর্য  
ঈ +অ = য
নদী + অম্বু = নদ্যম্বু
ঈ + আ = যা
নদী + আদি = নদ্যাদি

সূত্র - ১০ : 'উ' ,'ঊ' ভিন্ন স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'উ' বা 'ঊ' এর স্থানে 'ব্' হয় ( অন্তঃস্থ ব ) আর এই 'ব্' ( ব্-ফলা হয়ে ) পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় ও পরের স্বর 'ব্'-ফলা' যুক্ত হয়ে বর্ণের সাথে মিলিত অবস্থায় বসে।

উ+অ = ব / উ+আ = বা / উ+ই = বি / উ+ঈ = বী / উ+এ = বে / ঊ+আ = বা
উদাহরণঃ- 
উ + অ = ব  
পশু + অধম = পশ্বধম  
সু + অল্প = স্বল্প 
উ + আ = বা
সু + আগত = স্বাগত
পশু + আদি = পশ্বাদি
উ + ই = বি
অনু + ইত = অন্বিত
উ + ঈ = বী
  
তনু + ঈ = তন্বী  
উ + এ = বে
অনু + এষণ = অন্বেষণ
ঊ + আ = বা
বধূ + আদি = বধ্বাদি

সূত্র - ১১ : 'ঋ' ভিন্ন স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'ঋ' এর স্থানে 'র্' হয় আর এই 'র্' ( র্-ফলা হয়ে ) পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় ও পরের স্বর 'র্'-ফলা' যুক্ত হয়ে বর্ণের সাথে মিলিত অবস্থায় বসে।
 ঋ+অ = র / ঋ+আ = রা / ঋ+ই = রি / ঋ+ঈ = রী / ঋ+উ = রু / ঋ+ঐ = রে
উদাহরণঃ-   
ঋ + অ = র
পিতৃ + অনুমতি = পিত্রনুমতি 
ঋ + আ = রা
পিতৃ + আলয় = পিত্রালয়
ঋ + ই = রি
পিতৃ + ইচ্ছা = পিত্রিচ্ছা
ঋ + ঈ = রী  
নেতৃ + ঈ = নেত্রী  
ঋ + উ = রু
পিতৃ + উপদেশ = পিত্রুপদেশ
ঋ + ঐ = রে
পিতৃ + ঐশ্বর্য = পিত্রৈশ্বর্য

সূত্র - ১২ : স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'এ' স্থানে 'অয়্' হয়। 'অ' পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় আর 'য়্' পরের স্বরের সাথে যুক্ত হয়।
উদাহরণঃ- 
 অ + অ = অয়
নে + অন = নয়ন 
শে + অন = শয়ন

সূত্র - ১৩ : স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'ঐ' স্থানে 'আয়্' হয়। 'আ' পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় আর 'য়্' পরের স্বরের সাথে মিলিত হয়।
উদাহরণঃ- 
ঐ + অ = আয়
নৈ + অক = নায়ক 
গৈ + অক = গায়ক

সূত্র - ১৪ : স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'ও' স্থানে 'অব্' হয়। 'অ' পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় আর 'ব্' পরের স্বরের সাথে মিলিত হয়।
উদাহরণঃ- 
ও + অ = অব 
ভো + অন = ভবন 
পো + অন = পবন
ও + এ = অবে
গো + এষণা = গবেষণা

সূত্র - ১৫ : স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'ঔ' স্থানে 'আব্' হয়। 'আ' পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় আর 'ব্' পরের স্বরের সাথে মিলিত হয়।
উদাহরণঃ- 
ঔ + অ = আব  
পৌ + অক = পাবক  
ঔ + ই = আবি
নৌ + ইক = নাবিক
ঔ + উ = আবু
ভৌ + উক = ভাবুক

নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি
 এতক্ষণ আমরা সূত্র অনুযায়ী স্বরসন্ধি শিখলাম কিন্তু কিছু কিছু স্বরসন্ধি আছে যেগুলি কোন সূত্র মেনে হয় না এদের বলা হয় নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি, এগুলি ব্যতিক্রমী।

উদাহরণঃ -
গো + ইন্দ্র = গবেন্দ্র 
 শুদ্ধ + ওদন = শুদ্ধোদন 
 অক্ষ + ঊহিণী = অক্ষৌহিণী
কুল + অটা = কুলটা 
 গো + অক্ষ = গবাক্ষ 
 মার্ত + অণ্ড = মার্তণ্ড(সূর্য)
স্ব + ঈর = স্বৈর
দশ + ঋণ = দশার্ণ 
 সার + অঙ্গ = সারঙ্গ ( মৃদঙ্গ বিশেষ )
সার + অঙ্গ = সারাঙ্গ ( মুনি বিশেষ )

খাঁটি বাংলা স্বরসন্ধি

সূত্র - ১ : চলিত ভাষায় সন্ধিতে পরবর্তী শব্দের আগের স্বরের লোপ হয়।
উদাহরণঃ-      করিতে + আছি = করিতেছি 
                    যা + ইচ্ছে + তাই = যাচ্ছেতাই

সূত্র - ২ : ক্ষেত্রবিশেষে -অ'-কার কিংবা 'আ'-কারের পর 'ঈ'-কার থাকলে উভয়ে মিলে 'এ'-কার হয়ে যায়। 
 উদাহরণঃ- ঢাকা + ঈশ্বরী = ঢাকেশ্বরী
                নাগ + ঈশ্বর = নাগেশ্বর

সূত্র - ৩ : 'অ'-কারান্ত শব্দের সঙ্গে প্রত্যয় রূপে 'এক' যুক্ত হলে সন্ধিতে আগের স্বরের লোপ হয়ে যায়।
উদাহরণঃ-      বার + এক = বারেক 
                     আধ + এক = আধেক

সূত্র - ৪ : 'অ'-কার ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ থাকলে 'এ' কার লোপ পায় । এটা 'এক' এবং 'এর' ক্ষেত্রে ঘটে।
উদাহরণঃ-     গুটি + এক = গুটিক, 
                   খানি + এক = খানিক,
                    রাম + এর = রামের

সূত্র - ৫ : কোন কোন ক্ষেত্রে 'ই'-কার বা 'ঈ'-কারের পর 'ঈ'-কার বা 'ই'-কার থাকলে উভয় মিলে 'ঈ'- কার হয়।
উদাহরণঃ- দিল্লি + ঈশ্বর = দিল্লীশ্বর,
                কাশী + ঈশ্বরী = কাশীশ্বরী

সূত্র - ৬ : 'অ'-কার বা 'আ'-কারের পর 'উ'-কার বা 'ঊ'-কার থাকলে উভয়ে মিলে 'ও'-কার হয়ে যায়।
উদাহরণঃ-      চিতোর + উদ্ধার = চিতোরোদ্ধার,
                    ঝুলন + উৎসব = ঝুলনোৎসব

সূত্র - ৭ : তৎসম শব্দের নিয়ম অনুসারেও বাংলা স্বরসন্ধি হয়। 
যেমন-      ন্যাকা + আমি = ন্যাকামি, 
               মিতা + আলি = মিতালি


আজকের BENGALI SOROSONDHI বিষয়ের PDF টি ডাউনলোড করতে নীচের ডাউনলোড বটনে ক্লিক করো - Download PDF Here



April 21, 2022

Bengali Bakaron Practice Set - 2 ।। বাংলা ব্যাকরণ প্র্যাকটিস সেট - ২

 Bengali Bakaron Practice Set - 2

Bengali Bakaron Practice Set - 2

Bengali Bakaron Practice Set - 2

বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করছি Bengali Bakaron Practice Set - 2 ।। বাংলা ব্যাকরণ প্র্যাকটিস সেট - ২ ।
বন্ধুরা এতে বাংলা ব্যাকরণের বিশেষ করে ধ্বনি থেকে বেশি প্রশ্ন আছে । দেরি না করে প্র্যাকটিস করে নাও -

১) দন্ত ব্যঞ্জন কোনটি –

(i) ল

(ii) দ 

(iii) ট 

(iv) ব।

২) ব্যঞ্জনবর্ণে অর্ধমাত্রার বর্ণ আছে –

(i) ৬ 

(ii) ৭ 

(iii) ৮ 

(iv) ৯ টি।

৩) উষ্ণ ধ্বনি কোনটি –

(i) শ 

(ii) ক 

(iii) ঝ 

(iv) প।

৪) 'ঔ' কী ধরনের স্বর –

(i) কণ্ঠতালব্যস্বর 

(ii) ওষ্ঠস্বর 

(iii) কণ্ঠস্বর 

(iv) কণ্ঠৌষ্ঠ্যস্বর।

৫) এ কী ধরনের স্বরধ্বনি –

(i) সংবৃত

(ii) অর্ধ সংবৃত

(iii) বিবৃত 

(iv) অর্ধ বিবৃত।

৬) ‘ই’ কী ধরনের স্বর –

(i) হ্রস্ব 

(ii) দীর্ঘ  

(iii) নিম্ন 

(iv) মধ্য ।

৭) ঘৃষ্টধ্বনি কোনটি –

(i) হ

(ii) হ 

(iii) জ 

(iv) স।

৮) মহাপ্রাণ ধ্বনি হল –

(i) ট 

(ii) ঠ 

(iii) ত 

(iv) প।

৯) ঘোষ ধ্বনি হল –

(i)  ক  

(ii) প  

(iii)  ফ  

(iv) ঝ।

১০) অঘোষ ধ্বনি হল – 

(i) থ 

(ii) গ 

(iii) ঝ 

(iv) ড।

১১) নাসিক্য ধ্বনি কোনটি –

(i) ত 

(ii) ণ  

(iii) শ 

(iv) য।

 

 

১২) ব্যঞ্জনবর্ণে মাত্রাহীন বর্ণ আছে –

(i) ৫ 

(ii) ৬ 

(iii) ৭   

iv)৮ টি।

১৩) যে স্বরবর্ণ টি অর্ধমাত্রার তা হল –

(i) এ 

(ii) ঐ  

(iii) ঋ  

(iv) ঔ

১৪) স্বরবর্ণে মাত্রাহীন বর্ণ আছে –

(i) ১ টি 

(ii) ২ টি 

(iii) ৩ টি 

(iv) ৪ টি।

১৫) স্বরবর্ণে পূর্ণমাত্রার বর্ণ আছে –

(i) ৬ টি

(ii) ৪ টি

(iii) ২ টি 

(iv) ৫ টি।


উত্তরঃ- ১) ল,              ২) ৭ টি,

৩) শ,        ৪) কণ্ঠৌষ্ঠ্যস্বর,

৫) সংবৃত,    ৬) হ্রস্ব,

৭) জ,        ৮) ঠ,

৯) ঝ,        ১০) থ,

১১) ণ,        ১২) ৬ টি,   

১৩) ঋ,       ১৪) ৪ টি,

১৫) ৬ টি।

আজকের বিষয়টির PDF ডাউনলোড করতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করো - Download PDF Here


April 21, 2022

Bengali Bakaron Practice Set - 1 ।। বাংলা ব্যাকরণ প্র্যাকটিস সেট - ১

 Bengali Bakaron Practice Set - 1 

Bengali Bakaron Practice Set - 1

Bengali Bakaron Practice Set - 1 

বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করছি Bengali Bakaron Practice Set - 1 ।। বাংলা ব্যাকরণ প্র্যাকটিস সেট - ১
বন্ধুরা এতে বাংলা ব্যাকরণের বিশেষ করে ধ্বনি থেকে বেশি প্রশ্ন আছে । দেরি না করে প্র্যাকটিস করে নাও - 

১) বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কয়টি ?

(ক) ৭ টি 

(খ) ৮ টি  

(গ) ৬টি 

(ঘ) ৯টি

২) বাংলায় কোন স্বরধ্বনিটিকে বর্তমানে বাদ দেওয়া হয়েছে ?

(ক) ৯

(গ) ঐ 

(খ) ঋ 

(ঘ) এ

৩) বাংলায় কোন নতুন স্বরধ্বনি সংযোজিত হয়েছে ?

(ক) অ্যা 

(খ) আ  

(গ) এ  

(ঘ) ই

৪) ধ্বনি কয় প্রকার ?

(ক) ২ 

(খ) ৪  

(গ) ৫ 

(ঘ) ৭

৫) অযোগবাহ বর্ণ কোন দুটি-

(ক) ং , ঃ  

(খ) ক , খ 

(গ) অ , আ 

(ঘ)  ৎ , ত

৬) পরাশ্রয়ী বর্ণ কোন তিনটি ?

(ক) ং , ঃ , ঁ 

(খ) অ , আ , ই  

(গ) ত , থ , দ

৭) কণ্ঠস্বর কোন দুটি ?

(ক) উ , ঊ 

(খ) ই , ঈ 

(গ) অ, আ  

(ঘ) চ , ছ    

৮) ওষ্ঠস্বর কোন দুটি ?

(ক) আ , এ 

(খ) উ, ঊ 

(গ) ব , ভ 

(ঘ) দ ,ধ

৯) ‘আ’ কি ধরনের স্বরধ্বনি -

(ক) বর্তুল  

(খ) হ্রস্ব 

(গ) কেন্দ্রীয়  

(ঘ) সংবৃত ।

১০) উচ্চারন স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জন ধ্বনিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ?

(ক) ৭  

(খ)    

(গ)    

(ঘ) ১০  ভাগে।

১১) স্পর্শ ধ্বনি কোন গুলি ?

(ক) ‘ক’ থেকে ‘ম’

(খ) ‘খ’ থেকে ‘য’

(গ) ‘গ’ থেকে ‘র’  

(ঘ) ‘ঘ’  থেকে ‘ল’ - পর্যন্ত ২৫ টি ব্যঞ্জন ধ্বনি।

১২) অল্পপ্রান ধ্বনি কোনটি -

(ক) ছ  

(খ) র  

(গ) ঘ  

(ঘ) গ ।

১৩) যৌগিকস্বর কোন দুটি ?

(ক) ঐ , ঔ  

(খ) ক ,খ

(গ) ব , ভ

(ঘ) অ , আ

১৪) একটি প্লুতস্বরের উদাহরণ দাও ।

(ক)  হে-এ-এ  

(খ) ওই 

(গ) ওহে 

(ঘ) এখানে এসো

১৫) পূর্ণ মাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি?

(ক) ২৬ টি 

(খ) ২৭ টি 

(গ) ২৮ টি 

(ঘ) ২৫ টি ।

 

উত্তরঃ-

১। (ক) ৭ টি        ২। (ক) ৯

৩। (ক) অ্যা         ৪। (ক) ২  

৫। (ক) ং , ঃ     ৬। (ক) ং , ঃ , ঁ

৭। (গ) অ, আ       ৮। (খ) উ, ঊ 

৯। (গ) কেন্দ্রীয়      ১০। (ক) ৭  

১১। (ক) 'ক’ থেকে ‘ম’

১২। (ঘ)             ১৩। (ক) ঐ , ঔ

১৪। (ক)  হে-এ-এ   ১৫। (ক) ২৬ টি 


আজকের বিষয়টি PDF ডাউনলোড করতে নীচের ডাউনলোড বটনে ক্লিল করো - Download PDF Here


Tuesday, April 19, 2022

April 19, 2022

Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 4 || বাংলা শব্দ ও শব্দ ভাণ্ডার পর্ব - ৪ ।। Free PDF Download

 Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 4

Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 4

Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 4
নমস্কার বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করছি  Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 4 || বাংলা শব্দ ও শব্দ ভাণ্ডার পর্ব - ৪ ।। Free PDF Download  ।

তোমরা সকলেই জানো যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় এবং রেগুলার স্টুডেন্টদের জন্য বাংলা শব্দ ও শব্দ ভাণ্ডার খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই আমার আমাদের মত করে চেষ্টা করছি তোমাদের সাহায্য করতে। দেখে নাও আজকের বিষয় -

(১) জোড়কলম শব্দঃ- একটি শব্দের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের অংশবিশেষ বা একটি শব্দের অংশবিশেষের সঙ্গে অন্য একটি শব্দ বা একটি শব্দের অংশবিশেষের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের অংশবিশেষ যুক্ত হয়ে যদি নতুন একটি শব্দ তৈরি হয় তখন তাকে বলা হয় জোড়কলম শব্দ

যেমন ‘ধোঁয়াশা’ একটি শব্দ । এই শব্দটির সৃষ্টি হয়েছে 'ধোঁয়া' এবং 'কুয়াশা' এই দুটি শব্দের অংশবিশেষের যোগে --  ধোঁয়া (পুরো শব্দ) + কুয়াশার অংশবিশেষ ' শা ' অর্থাৎ ধোঁয়া + শা = ধোঁয়াশা ।

 

আরো কয়েকটি উদাহরণ :

 বাঙাল + ঘটি = বাটি               সিংহ + ব্যাঘ্র = সিংঘ্র              হাঁস + সজারু = হাসজারু

 বাংলা + ইংরেজি = বাংরেজি       নিশ্চল + চুপ = নিশ্চুপ             জেদি + তেজালো = জেদালো

 বাংলা + ইংলিশ = বাংলিশ

(২) মিশ্র শব্দ বা সংকর শব্দ : বিভিন্ন ভাষার বা একই ভাষার শব্দ ( প্রত্যয় , উপসর্গ ) ইত্যাদি মিলিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হলে তাকে মিশ্র শব্দ বা সংকর শব্দ বলে।

 উদাহরণ:

 পাও (পর্তুগিজ) + রোটি (হিন্দি) = পাওরুটি।

 মাস্টার (ইংরেজি) + 'ঈ'  প্রত্যয় = মাস্টারী।

 কায়দা (আরবি) +  কৌশল (তৎসম) = কায়দাকৌশল।

 নি (বাংলা) + খরচ (ফার্সি) = নিখরচা ।

 

 (৩) লোকনিরুক্তি: উচ্চারণের দিক থেকে অপেক্ষাকৃত জটিল বা অপরিচিত শব্দ যখন  লোক-সাধারণের উচ্চারনে অল্পবিস্তর পরিবর্তিত হয়ে পরিচিত শব্দের সাদৃশ্য লাভ করে তখন তাকে বলা হয় লোকনিরুক্তি।    

 উদাহরণ :

 আর্মচেয়ার > আরামচেয়ার ।       হসপিটাল > হাসপাতাল ।

 ভ্রমার্থী > ভীমরথী ।                     শোভন পাপড়ি > শন্ পাপড়ি ।

 (৪) বিষমচ্ছেদ : অনেক সময় সাদৃশ্যের প্রভাবে শব্দের যথাযথ বিশ্লেষণ না হয়ে বিকৃত ভাবে হয় এবং তাতে নতুন শব্দের উদ্ভব ঘটে। শব্দের এই বিকৃত বিশ্লেষণকে বিষমচ্ছেদ বলা হয়।

উদাহরণ : বিধবা , নিধুবন ইত্যাদি।

 

(৫) শব্দ বিভ্রম : অনেক সময় অজ্ঞানতাবশত প্রকৃত শব্দের বদলে একই ধরনের কিন্তু ভিন্ন অর্থ যুক্ত অন্য শব্দের ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই ধরনের বিভ্রম কে বলা হয় শব্দ বিভ্রম।

যেমন : ‘ক্যাশ>কেস’ উচ্চারণ ।

 

(৬) ভুঁইফোড় শব্দ বা ভুয়া শব্দ : বাংলা শব্দ ভান্ডারে এমন বেশ কিছু শব্দ আছে যে শব্দগুলির কোন মূল নেই অথচ তাকেই মূল শব্দ বলে ধরে নেয়া হয়, সেইরকম শব্দগুলিকেই বলা হয় ভুঁইফোড় শব্দ বা ভুয়া শব্দ।

যেমন - নিরঞ্জন, প্রোথিত ।

৭) মুন্ডুমাল শব্দ : কোন বাক্যাংশের অন্তর্গত শব্দগুলির প্রথম অক্ষর গুলি ব্যবহার করে যে শব্দ গঠিত হয় তাকে বলা হয় মুন্ডমাল শব্দ।

যেমন - ল. সা. গু.  , গ. সা. গু , B.A , M.A ইত্যাদি।

 

৮) খন্ডিত শব্দ : যখন কোন সম্পূর্ণ শব্দের অংশবিশেষের দ্বারাই শব্দটির পুরো অর্থ প্রকাশ পায় তখন তাকে বলা হয় খন্ডিত শব্দ।

যেমন:  বেনারসি শাড়ি> বেনারসি ,  বাইসাইকেল> সাইকেল।

৯) ধন্যাত্মক শব্দ বা অনুকার শব্দ : কোন ধ্বনির যেরূপ শব্দ সেইরূপ আওয়াজকে প্রকাশ করার জন্য যে শব্দ ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় ধন্যাত্মক শব্দ।

যেমন: জলের শব্দ 'কল কল' , হাওয়ার শব্দ 'শন্ শন্' , বৃষ্টি পড়ে 'টাপুর টুপুর' ইত্যাদি।

 

১০) দ্বিমাত্রিকতা : কোন বড় শব্দকে উচ্চারণের সুবিধার জন্য দুটি ভাগে বা মাত্রায় ভাগ করে উচ্চারণের পদ্ধতিকে বলা হয় দ্বিমাত্রিকতা।

যেমন: ইহলোক - ইহ+লোক , রামধনু - রাম+ধনু , জরাসন্ধ - জরা+ সন্ধ  ইত্যাদি।

 

১১) অপভাষা : এক জনগোষ্ঠীর লোক যখন অন্য জনগোষ্ঠীর ভাষা সঠিকভাবে না শিখে ভুল শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করে তখন সেটাকে বলা হয় অপভাষা।

যেমন: সার্টিফিকেট> সারট্যপিট , স্টেশন>ইস্টিশন, দিল্লি > দেলহী , বন্ধ করো ‌> বনধ করো ইত্যাদি।


আজকের বিষয়ের PDF টি ডাউনলোড করতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন - 

Downloa PDF Click Here


April 19, 2022

Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 3 || বাংলা শব্দ ও শব্দ ভাণ্ডার পর্ব - ৩ ।। Free PDF Download

 Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 3

Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 3

Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 3

নমস্কার বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করব Bengali Sabdo & Sabdo Vandar Part - 3 || বাংলা শব্দ ও শব্দ ভাণ্ডার পর্ব - ৩ ।। Free PDF Download ।

তোমরা সকলেই জানো যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় এবং রেগুলার স্টুডেন্টদের জন্য বাংলা শব্দ ও শব্দ ভাণ্ডার খুবই গুরুত্বপূর্ণ (Bengali Shobdo & Shobdo Vandar)। তাই আমার আমাদের মত করে চেষ্টা করছি তোমাদের সাহায্য করতে। দেখে নাও আজকের বিষয় – Bengali Shobdo & Shobdo Vandar

বাংলা শব্দ ভান্ডারে আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় - দেশি বিদেশী

 

) দেশি আগন্তুক শব্দ কোন গুলি ?

উঃ- সংস্কৃত ছাড়া এদেশেরই অন্য ভাষা থেকে যেসব শব্দ বাংলায় সরাসরি গৃহীত হয়েছে সেগুলিই হল দেশি আগন্তুক শব্দ

উদাহরণঃ-

দ্রাবিড় থেকে আগত -- আকাল (পিঠে বিশেষ) ইডলি, চুরুট, ধোসা ইত্যাদি

অষ্ট্রিক থেকে আগত -- তোতলা, খোকা, মুড়ি, ঠোঙা, ঝোল, পেট ইত্যাদি

হিন্দি থেকে আগত -- বন্ধ, থানা, চুড়িদার, জুতোঝান্ডা, পয়লা, দোসরা, তেসরা, ঠিকানা, চুরিদার, চিঠি, জোয়ার, ঝুড়ি ইত্যাদি

মারাঠি থেকে আগত -- চৌথ,বর্গী ইত্যাদি

গুজরাটি থেকে আগত -- তকলি, হরতাল ইত্যাদি

পাঞ্জাবি থেকে আগত -- শিখ, চাহিদা ইত্যাদি

 

) বিদেশি আগন্তুক শব্দ কোন গুলি ?

উঃ- বিদেশি ভাষা থেকে যেসব শব্দ সরাসরি বাংলায় এসেছে সেগুলিই হল বিদেশি আগন্তুক শব্দ

উদাহরণঃ-‌

আরবী থেকে আগত -- আল্লা, খুদা, মালিক, আইন, আদালত, হাজির, খাজনা, জবাব, তারিখ, কবর খবর ইত্যাদি

ফারসি থেকে আগত --  জামা, মোজা, পোশাক, দরখাস্ত, বিলেত, বীমা, লাল, সাজা ইত্যাদি 

ফরাসি থেকে আগত -- বিস্কুট, রেস্তোরাঁ, কার্তুজ, কুপন ইত্যাদি

তুর্কি থেকে আগত - বারুদ, বেগম, বিবি, বোচকা, চাকু, লাশ, কাঁচি, কুলি ইত্যাদি

পর্তুগিজ থেকে আগত -- আতা, পেঁপে, পেয়ারা, আনারস, সাবান ইত্যাদি

ওলন্দাজ থেকে আগত -- ইস্কাপন, হরতন, রুইতন, তুরুপ ইত্যাদি

ইংরেজি থেকে আগত -- স্কুল, কলেজ, নোট, মাস্টার, চক, পেন্সিল, বোর্ড, ডাস্টার, ফাইল, বল, চেয়ার, টেবিল, ইত্যাদি

চিনা থেকে আগত -- চা, চিনি, চাওমিন, লুচি, লিচু, কাগজ, তুফান ইত্যাদি

বর্মী থেকে আগত -- লুঙ্গি, ঘুঘনী ইত্যাদি

জাপানি থেকে আগত-- রিক্সা, হারিকিরি ইত্যাদি

 

) নবসৃষ্ট শব্দ কোন গুলি ?

উঃ- বাংলা শব্দ ভান্ডারে এমন কিছু শব্দ আছে যেগুলি একাধিক ভাষার সংমিশ্রণে কিংবা বিদেশি শব্দ অনুবাদের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এগুলিকে নবসৃষ্ট শব্দ বলে

এই নবসৃষ্ট শব্দ দুই প্রকার

 () মিশ্র শব্দ ,

 () অনূদিত শব্দ

 

() মিশ্র শব্দের উদাহরণঃ-

ফুল (ইংরেজি) + মোজা (ফারসি) = ফুলমোজা

ঠেলা (দেশি) + গাড়ি (তদ্ভব) = ঠেলাগাড়ি

জল (তৎসম) + হাওয়া (আরবি) = জল হাওয়া

খানা (ফারসি) + তল্লাশি (আরবি) = খানাতল্লাশি

 

() অনূদিত শব্দের উদাহরণঃ-

University > বিশ্ববিদ্যালয়

Wrist watch > হাত ঘড়ি

Motherland > মাতৃভূমি

Fountain pen > ঝরনা কলম

Newspaper > সংবাদপত্র

Tear gas > কাঁদানে গ্যাস 

আজকের বিষয়টির PDF ডাউনলোড করুন - 
Download PDF click here