Latest

Monday, April 18, 2022

Bengali Dhoni , Borno & Swaradhoni ।। বাংলা ধ্বনি, বর্ণ ও স্বরধ্বনি সম্পর্কে সম্যক ধারণা

 Bengali Dhoni , Borno & Swaradhoni

Bengali Dhoni , Borno & Swaradhoni

Bengali Dhoni , Borno & Swaradhoni

টেট বা যেকোনো কম্পিটেটিভ পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাংলা থেকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন থাকে এবং সেই প্রশ্নগুলি বেশিরভাগই থাকে ব্যাকরণ থেকে তাই আমাদের আলোচনার একটি মূল বিষয় হল ব্যাকরণ।

আপনি কি বাংলা ব্যাকরণ এ ভীষণ দুর্বল ? আপনি কি বাংলা ব্যাকরণ শিখতে চান ? কিংবা খুব সংক্ষিপ্ত রূপে অথচ স্পষ্ট ভাবে ব্যাকরণ সম্বন্ধে ধারণা গড়ে তুলতে চান... তাহলে আজ থেকেই আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং প্রতিদিনের স্বল্প স্বল্প প্রয়াসে আপনার ব্যাকরণের ভিতকে করে তুলুন দৃঢ়।

ব্যাকরণ শিখতে হলে যেটি প্রথমেই জানতে হবে তা হল - ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ ও বাক্য কি ? – আজকে আমরা আলোচনা করব- ধ্বনি,বর্ণ ও স্বরধ্বনি সম্পর্কে -


ধ্বনিঃ- মুখ নিঃসৃত শ্বাসবায়ুর সাহায্যে উচ্চারিত শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকেই বলা হয় ধ্বনি।

যেমন - অ, আ, ক্, খ্  - ইত্যাদির উচ্চারিত রূপ।

 

বর্ণঃ- ধ্বনির লিখিত রূপকেই বলা হয় বর্ণ।

যেমন - অ, আ, ক্, খ্ ইত্যাদির লিখিত রূপ।

 

প্রশ্নঃ- বর্ণ কয় প্রকার ও কী কী ?

উঃ- বর্ণ দুই প্রকার। যথা -   ১) স্বরবর্ণ

                                     ২) ব্যঞ্জনবর্ণ

প্রশ্নঃ- ধ্বনি কয় প্রকার ও কী কী ?

উঃ- ধ্বনি দুই প্রকার। যথা - ১) স্বরধ্বনি ২) ব্যঞ্জনধ্বনি

 

১। স্বরধ্বনিঃ- যে ধ্বনি অন্য কোনো ধ্বনির সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই উচ্চারিত হতে পারে তাকে বলা হয় স্বরধ্বনি।

 

*    বাংলায় স্বরধ্বনির সংখ্যা হল ১২ টি এগুলি হল - অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, অ্যা, এ, ঐ, ও, ,ঔ।

 

স্বরধ্বনির শ্রেণীবিভাগঃ-

স্বরধ্বনি গুলিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হয় যথা -  ১) মৌলিক স্বরধ্বনি  ২) যৌগিক স্বরধ্বনি

 

১। মৌলিক স্বরধ্বনিঃ- যে স্বরধ্বনি গুলিকে ভাঙা যায়না তাদের বলা হয় মৌলিক স্বরধ্বনি।

Ø বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনি সাতটি - অ, আ, ই, উ, এ, ও,  অ্যা ।

২। যৌগিক স্বরধ্বনিঃ-  যে স্বরধ্বনি গুলি একাধিক স্বরধ্বনি দ্বারা গঠিত অর্থাৎ যাদের ভাঙা যায় তাদের বলে যৌগিক স্বরধ্বনি।

   যেমন - ঐ (ও+ই),  ঔ (ও+উ)।

v   উচ্চারণ সময়ের কম বেশি পার্থক্য অনুযায়ী স্বরধ্বনিকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা -

১। হ্রস্বস্বরঃ- যে সকল স্বরধ্বনি উচ্চারণ করতে কম সময় লাগে তাকেই হ্রস্বস্বর বলে।

উদাঃ- অ, ই, উ।

২। দীর্ঘস্বরঃ- যে সকল স্বরধ্বনি উচ্চারণ করতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে তাদের দীর্ঘস্বর বলে।

উদাঃ- আ, এ, ও, অ্যা।

৩। প্লুতস্বরঃ- যে স্বরধ্বনিকে টেনে টেনে দীর্ঘ বা প্রলম্বিত করে উচ্চারণ করা হয় তাকে বলে প্লুতস্বর।

 উদাঃ- রে-রে-এ-এ।

 

v    উচ্চারণ কালে জিহ্বার অবস্থান অনুযায়ী আবার ৭টি স্বরধ্বনিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় -

১। সম্মুখস্থ স্বরধ্বনিঃ- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা সম্মুখে অর্থাৎ দাঁতের দিকে এগিয়ে আসে তাকে সম্মুখস্থ স্বরধ্বনি বলে।

উদাঃ- ই, এ, অ্যা।

২। পশ্চাৎভাগস্থ স্বরধ্বনিঃ- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা পশ্চাৎ বা অভ্যন্তর ভাগের দিকে আকৃষ্ট হয় তাকে পশ্চাতভাগস্থ স্বরধ্বনি বলে।

উদাঃ- উ, ও, অ।

 

৩। কেন্দ্রীয় স্বরধ্বনিঃ- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা সম্মুখস্থ ও পশ্চাৎভাগস্থ স্বরধ্বনির মাঝামাঝি  স্থানে অবস্থান করে তাকে কেন্দ্রীয় স্বরধ্বনি বলে।

উদাঃ-  আ।

v    জিহ্বার ওঠা নামা অনুযায়ী স্বরধ্বনির শ্রেণীবিভাগ -

১। ঊর্ধ্ব স্বরধ্বনিঃ- যেসব স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা সবচেয়ে উপরে উঠে আসে তাদের উর্ধ স্বরধ্বনি বলে।

উদাঃ- ই, উ।

২। নিম্ন স্বরধ্বনিঃ- যেসব স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা সবচেয়ে নীচে নেমে আসে তাদের বলে নিম্ন স্বরধ্বনি।

উদাঃ- আ অ্যা।

৩। উচ্চমধ্য স্বরধ্বনিঃ- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা ঊর্ধ্ব স্বরধ্বনির থেকে কিছুটা নীচে অবস্থান করে তাকে উচ্চমধ্য স্বরধ্বনি বলে।

উদাঃ- এ, ও

৪। নিম্নমধ্য স্বরধ্বনিঃ- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা নিম্ন স্বরধ্বনির থেকে কিছুটা উপরে অবস্থান করে তাকে নিম্নমধ্য স্বরধ্বনি বলে।

উদাঃ- এ্য, অ।

 উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী আবার স্বরধ্বনির শ্রেণীবিভাগ - আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে সেটি ছকের   সাহায্যে সহজ ভাবে নীচে দেওয়া হল -


স্বরধ্বনি উচ্চারণ স্থান উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনির নাম
অ, আ কণ্ঠ্ ও জিহ্বামূল কণ্ঠস্বর
ই, ঈ তালু ও জিহ্বামধ্য তালব্যস্বর
উ, ঊ ওষ্ঠ ও অধর ওষ্ঠস্বর
মূর্ধা ও উল্টানো জিহ্বাগ্ৰ মূর্ধন্যস্বর
এ,ঐ কণ্ঠ্ ও তালু কণ্ঠতালব্যস্বর
ও,ঔ কণ্ঠ্ ও ওষ্ঠ কণ্ঠৌষ্ঠ্যস্বর
- - -


v     মুখবিবরের অবস্থান অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ -

১। সংবৃত স্বরধ্বনিঃ- উচ্চারণের সময় মুখবিবরের আয়তন সবথেকে কম থাকে ।

উদাঃ-  ই, উ

২। বিবৃত স্বরধ্বনিঃ- উচ্চারণের সময় মুখবিবরের আয়তন সবথেকে বেশি থাকে ।

উদাঃ- আ, অ্যা।

৩। অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনিঃ- উচ্চারণ কালে মুখবিবর কিছুটা সংবৃত থাকে।

উদাঃ- এ, ও

৪। অর্ধ - বিবৃত স্বরধ্বনিঃ- মুখবিবর কিছুটা প্রসারিত থাকে।

উদাঃ- অ, এ্য।

v   ওষ্ঠের অবস্থান অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ -

১। বর্তুল বা কুঞ্চিত স্বরধ্বনিঃ- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট দুটি গোল আকার ধারণ করে ।

উদাঃ- উ, ও, অ।

২। প্রসৃত স্বরধ্বনিঃ- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট দুটি দুপাশে ছড়িয়ে যায়।

উদাঃ-  ই, এ, অ্যা ।

 এক নজরে স্বরধ্বনি গুলির বৈশিষ্ট্য –








স্বরধ্বনি বৈশিষ্ট্য
হ্রস্ব, নিম্ন-মধ্য, পশ্চাৎ, বর্তুল, অর্ধবিবৃত, কন্ঠ্য।
দীর্ঘ, নিম্ন, কেন্দ্রীয়, বিবৃত, কণ্ঠস্বর।
হ্রস্ব, ঊর্ধ্ব, সম্মুখ, প্রসৃত, সংবৃত, তালব্যস্বর।
তালব্যস্বর
হ্রস্ব, ঊর্ধ্ব, বর্তুল, সংবৃত, ওষ্ঠস্বর
ওষ্ঠস্বর,
মূর্ধণ্যস্বর
অ্যা দীর্ঘ ,নিম্ন, প্রসৃত, বিবৃত, তালব্যস্বর।
দীর্ঘ, সম্মুখ, উচ্চমধ্য, অর্ধ-সংবৃত,কণ্ঠতালব্যস্বর।
যৌগিক, কণ্ঠতালব্যস্বর।
দীর্ঘ, উচ্চমধ্য, অর্ধ-সংবৃত, বর্তুল, কণ্ঠৌষ্ঠ্যস্বর।
যৌগিক, কণ্ঠৌষ্ঠ্যসস্বর।

‘আ’ ধ্বনির বৈশিষ্ট্য গুলি বেশি পরিমাণে পরীক্ষায় আসে।


বাংলা ধ্বনি, বর্ণ ও স্বরধ্বনি সম্পর্কে সম্যক ধারণা সম্পর্কে আজকের PDF টি ডাউনলোড করতে নীচের ডাউনলোড বটনে ক্লিক করুন - Download PDF Here