Bengali Dhoni Poriborton & Dhoni Poribortoner Karon
ধ্বনি পরিবর্তন
১। ধ্বনি পরিবর্তন
বলতে কি বোঝো ?
উঃ- শব্দ ব বাক্য মধ্যস্থিত ধ্বনির
হ্রাস- বৃদ্ধি, স্থানান্তর- রূপান্তর ও লোপকে কেন্দ্র করে ভাষার যে অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন
ঘটে, তাকে ধ্বনি পরিবর্তন বলে।
যেমনঃ– মিটকেশ > মিশকেট
কোথা থেকে > কোত্থেকে।
ধ্বনি পরিবর্তনের কারন গুলিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
(১) বাহ্যিক কারন (২) অভ্যন্তরীণ কারন ।
(১)
ধ্বনি পরিবর্তনের বাহ্যিক কারনঃ-
(ক) ভৌগোলিক
প্রভাবঃ-
পরিবেশের রুক্ষতা ও স্নিগ্ধতার উপর অনেক সময় ধ্বনি পরিবর্তন নির্ভর করে।
যেমনঃ- পুরুলিয়াতে যাকে বলে ‘পেথ্যা’
বর্ধমানে তারই উচ্চারণ ‘পেথে’।
(খ) সামাজিক
প্রভাবঃ-
দেশের শান্তি অবস্থা ও যুদ্ধ অবস্থা ধ্বনির পরিবর্তনে প্রভাব ফেলতে পারে।
যেমনঃ– যুদ্ধে বিদেশিদের আগমনের
ফলে শ, স, ষ এই শিষ্ ধ্বনির মধ্যে ষ্ র ব্যবহার লোপ পেয়েছে।
(গ) অন্য
ভাষার প্রভাবঃ- বিভিন্ন ভাষা ভাষীর মানুষ পারস্পরিক সহাবস্থানের ফলে ধ্বনি পরিবর্তন হয়।
যেমনঃ– বন্ধ > বন্ধ্।
এছাড়াও ঐতিহাসিক
প্রভাব ও ব্যক্তিগত প্রভাবেও ধ্বনি পরিবর্তন হয়।
(২) অভ্যন্তরীণ কারনঃ- ধ্বনি পরিবর্তনের অভ্যন্তরীন কারন গুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা – (ক) শারীরিক কারণ (খ)
মানসিক কারন
(ক)
শারীরিক কারনঃ-
(i) বক্তার
বাক্যন্ত্রের ত্রুটি – জিভের জড়তা থাকলে। যেমন – ভাত দাও > বাট দাও।
(i) শ্রোতার
শ্রবন যন্ত্রের ত্রুটি – জল আনতে বললে তেল আনা অর্থাৎ কানে কম শোনা ।
(iii) অনুকরণে ত্রুটি – অসাবধানতা বা অজ্ঞতার কারণে অনুকরনে ত্রুটি হয়।
যেমন – সার্টিফিকেট > সারট্যপিট
।
(iv) দ্রুত
উচ্চারণ ঘটিত ত্রুটি – তাড়াতাড়ি কথা বলতে গেলে, যেমন – কোথা থেকে এলি > কোত্থেকে এলি ।
(v) আরাম প্রবণতা
– সহজ করে
উচ্চারণ করা হয় । যেমন – পদ্ম > পদ্দ।
(খ)
মানসিক কারনঃ-
(i) লোক নিরুক্তিগত কারণ – অপরিচিত বিদেশি শব্দ পরিচিত শব্দের মতো উচ্চারণ করলে পরিবর্তন ঘটে।
যেমন – হস্পিটাল > হাস্পাতাল ।
(ii) শ্বাসাঘাত
জনিত পরিবর্তন – শব্দের যথাস্থানে শ্বাসাঘাত না পড়লে ধ্বনির পরিবর্তন ঘটে ।
যেমন – গামোছা > গামছা ।
(iii) আবেগ
জনিত কারণ –
অনেক সময় শব্দকে মধুর করতে ধ্বনির পরিবর্তন ঘটানো হয় ।
যেমন – কাকা > কাকু ।
(iv) অন্যমনস্কতা
জনিত কারণ –
মন অন্য বিষয়ে চিন্তিত থাকলে ঘটে।
যেমন – এক কাপ চা > এক চাপ কা
।