Latest

Tuesday, April 19, 2022

Bengali Dhoni Poriborton & Dhoni Poribortoner Karon || বাংলা ধ্বনি পরিবর্তন ও ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ

 Bengali Dhoni Poriborton & Dhoni Poribortoner Karon

Bengali Dhoni Poriborton & Dhoni Poribortoner Karon

Bengali Dhoni Poriborton & Dhoni Poribortoner Karon

নমস্কার বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করব Bengali Dhoni Poriborton & Dhoni Poribortoner Karon || বাংলা ধ্বনি পরিবর্তন ও ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ

তাই দেরি না করে পড়ে নাও আজকের বিষয় বাংলা ধ্বনি পরিবর্তন ও ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ । আর প্রয়োজনে নীচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে PDF সংগ্রহ করে নাও ।

ধ্বনি পরিবর্তন

 

১। ধ্বনি পরিবর্তন বলতে কি বোঝো ?

উঃ- শব্দ ব বাক্য মধ্যস্থিত ধ্বনির হ্রাস- বৃদ্ধি, স্থানান্তর- রূপান্তর ও লোপকে কেন্দ্র করে ভাষার যে অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ঘটে, তাকে ধ্বনি পরিবর্তন বলে।

যেমনঃ–     মিটকেশ > মিশকেট

             কোথা থেকে > কোত্থেকে।

 

 ধ্বনি পরিবর্তনের কারন গুলিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –    

(১) বাহ্যিক কারন    (২) অভ্যন্তরীণ কারন ।

(১) ধ্বনি পরিবর্তনের বাহ্যিক কারনঃ-

(ক) ভৌগোলিক প্রভাবঃ- পরিবেশের রুক্ষতা ও স্নিগ্ধতার উপর অনেক সময় ধ্বনি পরিবর্তন নির্ভর করে।

যেমনঃ- পুরুলিয়াতে যাকে বলে ‘পেথ্যা’ বর্ধমানে তারই উচ্চারণ ‘পেথে’।

(খ) সামাজিক প্রভাবঃ- দেশের শান্তি অবস্থা ও যুদ্ধ অবস্থা ধ্বনির পরিবর্তনে প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমনঃ– যুদ্ধে বিদেশিদের আগমনের ফলে শ, স, ষ এই শিষ্‌ ধ্বনির মধ্যে ষ্‌ র ব্যবহার লোপ পেয়েছে।

(গ) অন্য ভাষার প্রভাবঃ- বিভিন্ন ভাষা ভাষীর মানুষ পারস্পরিক সহাবস্থানের ফলে ধ্বনি পরিবর্তন হয়।

যেমনঃ– বন্ধ > বন্‌ধ্‌।

এছাড়াও ঐতিহাসিক প্রভাব ও ব্যক্তিগত প্রভাবেও ধ্বনি পরিবর্তন হয়।


(২) অভ্যন্তরীণ কারনঃ- ধ্বনি পরিবর্তনের অভ্যন্তরীন কারন গুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। 

যথা – (ক) শারীরিক কারণ (খ) মানসিক কারন

(ক) শারীরিক কারনঃ-

(i) বক্তার বাক্‌যন্ত্রের ত্রুটি – জিভের জড়তা থাকলে। যেমন – ভাত দাও > বাট দাও।

(i) শ্রোতার শ্রবন যন্ত্রের ত্রুটি – জল আনতে বললে তেল আনা অর্থাৎ কানে কম শোনা ।

(iii) অনুকরণে ত্রুটি – অসাবধানতা বা অজ্ঞতার কারণে অনুকরনে ত্রুটি হয়। 

যেমন – সার্‌টিফিকেট > সারট্যপিট ।

(iv) দ্রুত উচ্চারণ ঘটিত ত্রুটি – তাড়াতাড়ি কথা বলতে গেলে, যেমন – কোথা থেকে এলি > কোত্থেকে এলি ।

(v) আরাম প্রবণতা – সহজ করে উচ্চারণ করা হয় । যেমন – পদ্ম > পদ্দ।

(খ) মানসিক কারনঃ-

(i) লোক নিরুক্তিগত কারণ – অপরিচিত বিদেশি শব্দ পরিচিত শব্দের মতো উচ্চারণ করলে পরিবর্তন ঘটে। 

যেমন –  হস্‌পিটাল > হাস্‌পাতাল ।

(ii) শ্বাসাঘাত জনিত পরিবর্তন – শব্দের যথাস্থানে শ্বাসাঘাত না পড়লে ধ্বনির পরিবর্তন ঘটে ।

যেমন – গামোছা > গামছা ।

(iii) আবেগ জনিত কারণ – অনেক সময় শব্দকে মধুর করতে ধ্বনির পরিবর্তন ঘটানো হয় ।

যেমন – কাকা > কাকু ।

(iv) অন্যমনস্কতা জনিত কারণ – মন অন্য বিষয়ে চিন্তিত থাকলে ঘটে।

যেমন – এক কাপ চা > এক চাপ কা ।

             

  এছাড়াও সাদৃশ্য জনিত কারণ, বিশুদ্ধি জনিত কারণ(পুষ্ট > পুরুষ্ট), প্রভৃতি কারনে ধ্বনির পরিবর্তন হয়ে থাকে ।


PDF টি ডাউনলোড করতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -