Latest

Tuesday, April 19, 2022

Dhoni Poribortoner Dhara or Riti PDF Download ।। ধ্বনি পরিবর্তনের ধারা বা রীতি (পর্ব- ২)

 Dhoni Poribortoner Dhara or Riti PDF Download

Dhoni Poribortoner Dhara or Riti PDF Download

Dhoni Poribortoner Dhara or Riti PDF Download

আমরা dhoni poriborton নিয়ে আলোচনা করছিলাম । সেখানে আগে আমরা ধ্বনি পরিবর্তনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকে আমরা dhoni poriborton এর যে টুকু ধারা রীতি বাকি ছিল তা নিয়ে আলোচনা করব । চলো দেখে নেওয়া যাক - Dhoni Poribortoner Dhara or Riti PDF Download ।। ধ্বনি পরিবর্তনের ধারা বা রীতি (পর্ব- ২) ।

ধ্বনি পরিবর্তনের ধারা বা রীতি

পর্ব- ২

(v) ঘোষী ভবনঃ- অঘোষ ধ্বনি সঘোষ ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয় । যেমন –কাক > কাগ ।

(vi) অঘোষী ভবনঃ- সঘোষ ধ্বনি অঘোষ ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয় । যেমন – পাপড়ি > পাবড়ি ।

(vii) মহাপ্রাণী ভবনঃ- মহাপ্রান বর্ণের প্রভাবে অল্পপ্রান বর্ণ মহাপ্রান বর্ণের মতো উচ্চারিত হয় । 

যেমন – স্তম্ভ > থাম ।

(viii) অল্পপ্রানী ভবনঃ- মহাপ্রান ধ্বনি অল্পপ্রাণ ধ্বনিতে পরিণত হয় । যেমন – দুধ > দুদ, মাছ> মাছ ।

(ix) স্বতমহাপ্রানী ভবনঃ- মহাপ্রান বর্ণের প্রভাব ছাড়াই অল্পপ্রান ধ্বনি মহাপ্রানিত হয় । যেমন – পুস্তক > পুঁথি ।

(x) মূর্ধন্যী ভবনঃ- দন্ত্যবর্ণ মূর্ধন্য বর্ণে পরিণত হয় (ঋ, ব, ষ, এর প্রভাব)। যেমন – বৃদ্ধ > বুড়া ।

(xi) স্বতমূর্ধন্যী ভবনঃ- অন্য কোন ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই দন্ত্যবর্ণ মূর্ধন্য বর্ণে পরিণত হয় । 

যেমন – বালতি > বালটি ।

(xii) উষ্মীভবনঃ- স্পর্শধ্বনি উচ্চারনে পূর্ণ বাঁধা না পেয়ে আংশিক বাঁধা পেলে তাকে উষ্মীভবন বলে । 

যেমন –  কালীপূজা > খালীপূজা ।

(xiii) নাসিক্যীভবনঃ- নাসিক্যধ্বনি (ঙ, ঞ, ন, ণ, ম) নিজে লুপ্ত হয়ে পূর্ববর্তী ধ্বনিকে অনুনাসিক করে তোলে । যেমন – সন্ধ্যা > সাঁঝ ।  দন্ত্য > দাঁত ।

(xiv) স্বতো নাসিক্যীভবনঃ- নাসিক্য ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই আনুনাসিক হলে । যেমন – সূচ > ছুঁচ ।

(xv) সকারীভবনঃ- পৃষ্ঠ ধ্বনি ঘৃষ্ট ধ্বনিতে পরিণত হয় (উষ্মীভবনের জন্য) । যেমন – খেয়েছে > খাইসে ।

(xvi) রকারীভবনঃ- স/শ/ষ – কার ‘র’ কারে পরিণত হয় । যেমন – পঞ্চদশ > পনেরো ।

(xvii) ধ্বনি সংকোচনঃ- দ্রুত উচ্চারনের জন্য সবকটি ধ্বনি পূর্ণ রূপে না উচ্চারণ করা হলে ।

যেমন – পরিষদ > পর্ষদ ।

(xviii) ধ্বনি প্রসারনঃ- অতিরিক্ত ধ্বনি সংযোজন করে শব্দ উচ্চারণ করা হয় । যেমন – স্নান > সিনান ।


৪। ধ্বনি স্থানান্তরঃ-

শব্দের মধ্যে ধ্বনি গুলি পরস্পর স্থান পরিবর্তন করলে তাকে ধ্বনি স্থানান্তর বলে । প্রধানত বিপর্যাসের মাধ্যমে স্থানান্তর ঘটে ।

ধ্বনি স্থানান্তর দুই প্রকার – (ক) বিপর্যাস । (খ) অপিনিহিতি ।

(ক) বিপর্যাসঃ- উচ্চারণ অসতর্কতায় ধ্বনিগুলি একে অপরের জায়গায় চলে যায় ।

যেমন – জীবাণু > বীজাণু । বাতাসা > বাসাতা ।

(খ) অপিনিহিতিঃ- শব্দের মধ্যে ‘ই’ কার ‘উ’ কার নির্দিষ্ট স্থানের আগেই উচ্চারিত হয় ।

যেমন – চারি > চাইর । মাছুয়া > মাউছুয়া


আজকের বিষয়টির PDF টি ডাউনলোড করতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করো - Download Here