Dhoni Poribortoner Dhara or Riti PDF Download
ধ্বনি পরিবর্তনের ধারা বা রীতি
পর্ব- ২
(v) ঘোষী ভবনঃ- অঘোষ ধ্বনি সঘোষ ধ্বনিতে রূপান্তরিত
হয় । যেমন –কাক > কাগ ।
(vi) অঘোষী ভবনঃ- সঘোষ ধ্বনি অঘোষ ধ্বনিতে রূপান্তরিত
হয় । যেমন – পাপড়ি > পাবড়ি ।
(vii) মহাপ্রাণী ভবনঃ- মহাপ্রান বর্ণের প্রভাবে অল্পপ্রান বর্ণ মহাপ্রান বর্ণের মতো উচ্চারিত হয় ।
যেমন – স্তম্ভ > থাম ।
(viii) অল্পপ্রানী ভবনঃ- মহাপ্রান
ধ্বনি অল্পপ্রাণ ধ্বনিতে পরিণত হয় । যেমন
– দুধ > দুদ, মাছ> মাছ ।
(ix) স্বতমহাপ্রানী ভবনঃ- মহাপ্রান
বর্ণের প্রভাব ছাড়াই অল্পপ্রান ধ্বনি মহাপ্রানিত হয় । যেমন – পুস্তক > পুঁথি ।
(x) মূর্ধন্যী ভবনঃ- দন্ত্যবর্ণ মূর্ধন্য বর্ণে পরিণত
হয় (ঋ, ব, ষ, এর প্রভাব)। যেমন – বৃদ্ধ
> বুড়া ।
(xi) স্বতমূর্ধন্যী ভবনঃ- অন্য কোন ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই দন্ত্যবর্ণ মূর্ধন্য বর্ণে পরিণত হয় ।
যেমন – বালতি > বালটি ।
(xii) উষ্মীভবনঃ- স্পর্শধ্বনি উচ্চারনে পূর্ণ বাঁধা না পেয়ে আংশিক বাঁধা পেলে তাকে উষ্মীভবন বলে ।
যেমন – কালীপূজা > খালীপূজা ।
(xiii) নাসিক্যীভবনঃ- নাসিক্যধ্বনি (ঙ, ঞ, ন, ণ, ম) নিজে
লুপ্ত হয়ে পূর্ববর্তী ধ্বনিকে অনুনাসিক করে তোলে । যেমন – সন্ধ্যা > সাঁঝ । দন্ত্য
> দাঁত ।
(xiv) স্বতো নাসিক্যীভবনঃ- নাসিক্য ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই আনুনাসিক হলে । যেমন – সূচ > ছুঁচ ।
(xv) সকারীভবনঃ- পৃষ্ঠ ধ্বনি ঘৃষ্ট ধ্বনিতে পরিণত
হয় (উষ্মীভবনের জন্য) । যেমন – খেয়েছে
> খাইসে ।
(xvi) রকারীভবনঃ- স/শ/ষ – কার ‘র’ কারে পরিণত হয় ।
যেমন – পঞ্চদশ > পনেরো ।
(xvii) ধ্বনি সংকোচনঃ- দ্রুত উচ্চারনের জন্য সবকটি ধ্বনি পূর্ণ রূপে না উচ্চারণ করা হলে ।
যেমন – পরিষদ > পর্ষদ ।
(xviii) ধ্বনি প্রসারনঃ- অতিরিক্ত
ধ্বনি সংযোজন করে শব্দ উচ্চারণ করা হয় । যেমন
– স্নান > সিনান ।
৪। ধ্বনি স্থানান্তরঃ-
শব্দের মধ্যে ধ্বনি গুলি পরস্পর
স্থান পরিবর্তন করলে তাকে ধ্বনি স্থানান্তর বলে । প্রধানত বিপর্যাসের মাধ্যমে স্থানান্তর
ঘটে ।
ধ্বনি স্থানান্তর দুই প্রকার – (ক) বিপর্যাস । (খ) অপিনিহিতি ।
(ক) বিপর্যাসঃ- উচ্চারণ অসতর্কতায় ধ্বনিগুলি একে
অপরের জায়গায় চলে যায় ।
যেমন – জীবাণু > বীজাণু । বাতাসা > বাসাতা ।
(খ) অপিনিহিতিঃ- শব্দের মধ্যে ‘ই’ কার ‘উ’ কার নির্দিষ্ট
স্থানের আগেই উচ্চারিত হয় ।
যেমন – চারি > চাইর । মাছুয়া > মাউছুয়া ।
আজকের বিষয়টির PDF টি ডাউনলোড করতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করো - Download Here