Latest

Wednesday, March 9, 2022

Water Transportation of India ।। ভারতের জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু তথ্য

 Water Transportation of India

Water Transportation of India


বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করছি Water Transportation of India ।। ভারতের জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু তথ্য ।

প্রিয় ছাত্র ছাত্রী এবং বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সাথে general knowladge তথা ভূগোলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করছি । Water Transportation of India এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলি পড়ে নাও প্রয়োজনে নীচের লিঙ্ক থেকে PDF সংগ্রহ করে নাও -

জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা (Water Transportation)

  •  সব চাইতে কম খরচে পরিবেশবন্ধু যাতায়াত মাধ্যম হল জলপথ পরিবহন ।
     ভারতে প্রায় ১৪৫০০ কি.মি. জলপথে যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নদী, খাল ইত্যাদির মাধ্যমে ।
  •  ভারতে প্রায় ১৪৫০০ কি.মি. জলপথে যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নদী, খাল ইত্যাদির মাধ্যমে ।

জলপথের নাম দৈর্ঘ্য
NWI এলাহাবাদ-হলদিয়া জাতীয় জলপথ ১৬২৯ কিলোমিটার
NW2 সেদিয়া-ধুবড়ি জাতীয় জলপথ(ব্রহ্মপুত্র নদীতে) ১৯১ কিলোমিটার
NW3 কোলাম-কোট্টাপরম্‌ জাতীয় জলপথ ১৮৬ কিলোমিটার
NW4 ভদ্রাচলম-রাজমুন্দ্রি এবং ওয়াজিরাবাদ-বিজয়ওয়াড়া(গোদাবরী ও কৃষ্ণা নদীতে) ১১০০ কিলোমিটার
NW5 মঙ্গলগড়ি-পারাদ্বীপ এবং তালচের-ধামারা(মহানদীও ব্রাহ্মণী নদীতে) ৬২৩ কিলোমিটার
NW6 লক্ষীপুর-ভঙ্গ বরাক (অসম) ১২১ কিলোমিটার


ভারতীয় বন্দরগুলি


v ভারতের জলপথ নিগম ভারতীয় জলপথকে মোট তিনটি ভাগে ভাগ করেছে যেমনপ্রধান, মাঝারি, ও ছোটো জলপথ 

v ভারতে সর্বোপরি ১৯০ টি জলপথ আছে এগুলির মধ্যে তেরোটি প্রধান এবং বাকিগুলি মাঝারি ও ছোটো জলপথ

১৩ টি প্রধান বন্দর হল –


বন্দর রাজ্য
কলকাতা (হলদিয়া) পশ্চিমবঙ্গ
পারাদ্বীপ ওড়িশা
বিশাখাপত্তনম অন্ধ্রপ্রদেশ
চেন্নাই তামিলনাড়ু
এন্নোর তামিলনাড়ু
ভি. ও. চিদাম্বরম(পূর্বনাম তুতুকোরিন ) তামিলনাড়ু
কোচিন কেরালা
নিউ ম্যাঙ্গালোর কর্ণাটক
মার্মাগাঁও গোয়া
জওহরলাল নেহেরু মহারাষ্ট্র
মুম্বাই মহারাষ্ট্র
খান্ডালা গুজরাট
পোর্ট ব্লেয়ার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ


v পোর্ট ট্রাস্ট এই বন্দরগুলি তত্ত্বাবধান করে, শুধুমাত্র নতুন তৈরি এন্নোর বন্দর যোগাযোগ করে এন্নোর পোর্ট লিমিটেড কোম্পানি ।

বৈশিষ্ট্যঃ-

কলকাতা বন্দর (হলদিয়া সহ)ঃ  কলকাতা হলো একটি নদী বন্দর, এটি বঙ্গোপসাগরের ১২৮ কিলোমিটার ভিতরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত । হলদিয়া বন্দর তৈরীর কারণ হলো অত্যধিক পলি জমে যাওয়ায় কলকাতা বন্দরে বড় জাহাজ প্রবেশের পথে অন্তরায় ।

পারাদ্বীপ বন্দরঃ  বঙ্গোপসাগরের উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থিত । ভারত এখান থেকে কাঁচা লোহা রপ্তানি করে ।

বিশাখাপত্তনম বন্দরঃ  অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত এটি সবচেয়ে গভীর বন্দর এবং ইস্পাত কারখানার জন্য কাজ করে ।

চেন্নাই বন্দরঃ  সবচেয়ে পুরানো কৃত্রিম বন্দর এটি । মুম্বাই এরপর এই বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি রপ্তানি হয় ।

এন্নোর বন্দরঃ  ২০০১ সালে প্রধান বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এটিকে । এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সবই পাওয়া যায় । এর মারফত তামিলনাড়ু বিদ্যুৎ পর্ষদ এর জন্য কয়লা যোগানের কাজ করা হয় ।

ভি. ও. চিদাম্বরম(পূর্বের নাম তুতিকোরিন) বন্দরঃ  পান্ডো রাজাদের সময় থেকে এর অবস্থান । এটি একটি কৃত্রিম পোতাশ্রয় ।

কোচিন বন্দরঃ  কেরালার উপকূলে এই স্বাভাবিক পোতাশ্রয়টি আছে, এর দ্বারা চা-কফি রপ্তানি এবং খনিজ তৈল ও সার আমদানি হয় ।

নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দরঃ  এটিকে কর্নাটকের প্রবেশদ্বার বলা হয়, এখান থেকে আকরিক লোহা রপ্তানি করা হয় ।

মার্মাগাঁও বন্দরঃ  এটি আকরিক লোহার বাণিজ্যের প্রধান।

মুম্বাই বন্দরঃ  এটি স্বাভাবিক বন্দর এবং ভারতের ব্যস্ততম বন্দর একটি নতুন বন্দর নভসেবা বন্দর গড়ে উঠেছে ।

জহরলাল নেহেরু বন্দরঃ  পৃথিবীর দ্রুত বেড়ে ওঠা বন্দর গুলির মধ্যে এটি পঞ্চম কান্ডালা বন্দর । এটি ভারত ভাগের পর করাচির পরিবর্তনের হিসাবে গড়ে উঠেছে । এখানে কচ্ছের রনের মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ।

পোর্ট ব্লেয়ার বন্দরঃ  এই বন্দরকে সম্প্রতি প্রধান বন্দরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এই বন্দরটি গঠন এর তাৎপর্য হলো এটি দুটি আন্তর্জাতিক জাহাজ পথ সৌদি আরব-সিঙ্গাপুর, আমেরিকা-সিঙ্গাপুর এর নিকটে অবস্থিত ।


আজকের বিষয়টির PDF ডাউনলোড করতে নীচের ডাউনলোড বটনে ক্লিক করো - Download PDF Click Here .


ভারতের আকাশ পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন