ভারতীয় সংবিধানে পার্লামেন্ট বা সংসদ
পর্ব- ১
v অনুচ্ছেদ ৭৯ অনুযায়ী ভারতের সংসদ রাষ্ট্রপতি, রাজ্যসভার লোকসভার সমন্বয়ে
গঠিত । যদিও রাষ্ট্রপতি সংসদের কোন কক্ষেরই সদস্য নন, তিনি সংসদের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।
লোকসভা (Lok Sabha) :
v সর্বাধিক আসন সংখ্যা
৫৫০ + ২ ( ৫৩০- রাজ্য সদস্য, ২০- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সদস্য )
v বর্তমান সদস্য সংখ্যা
৫৪৫
v লোকসভার স্বাভাবিক
আয়ু ৫ বছর, কিন্তু রাষ্ট্রপতি তার আগেও লোকসভা ভেঙে দিতে পারেন ।
v অনুচ্ছেদ ৩৫২ অনুসারে
রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে সংসদ তার স্বাভাবিক কার্যকাল বাড়াতে পারে । কিন্তু
সংসদ একসঙ্গে এক বছরের বেশি লোকসভার কার্যকাল বাড়াতে পারেনা ।
v লোকসভার সদস্য হবার যোগ্যতা –
(ক) ভারতের নাগরিক হতে হবে ।
(খ) অন্তত ২৫ বছর বয়স হতে হবে ।
(গ) কোন লাভজনক পদে থাকা চলবে না ।
(ঘ) মানসিক ভারসাম্যহীন বা দেউলিয়া হওয়া
চলবে না ।
(ঙ) কোন লোকসভা কেন্দ্রের নথিভুক্ত ভোটার হতে
হবে ।
স্পিকার (Speaker) :
v একজন সদস্যকে অযোগ্য
বিবেচনা করা হবে –
(ক) যদি তিনি স্বেচ্ছায় দলের সদস্য পদ
ছেড়ে দেন ।
(খ) যদি তিনি দলের ‘হুইপ’ অমান্য করেন ।
(গ) যদি ৬০ দিনের বেশি লোক সভায় অনুপস্থিত থাকেন ।
v ‘প্রটেম স্পিকার’
সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান ।
v লিখিতভাবে স্পিকারের
কাছে ইস্তফা দিতে পারেন ।
v লোকসভার স্পিকার সভাপতিত্ব
করেন (তার অনুপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকার) । সদস্যগণ নিজেদের মধ্যে তাকে নির্বাচিত করেন
।
v লোকসভা ভেঙে যাওয়ার
পরেও স্পিকার পরবর্তী লোকসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন ।
v সাধারণত, স্পিকার
পদে নির্বাচিত হওয়ার পর দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন । প্রথমে
তিনি ভোট দেবেন না, কিন্তু সমান সমান ভোট হলে তাঁর নির্ণয়ক ভোট থাকবে এবং সেই ভোট
তিনি প্রয়োগ করবেন ।
v ভারতের একীকৃত সঞ্চিত
ফান্ড থেকে তাঁর বেতন দেয়া হয় ।
v স্পিকার তার পদত্যাগপত্র
ডেপুটি স্পিকারের কাছে পাঠান ।
v স্পিকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ
সদস্যগণ ১৪ দিনের নোটিশে অপসারিত করতে পারেন (এই সময় তিনি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে
পারেন না) । তার অপসারণের পর পরবর্তী স্পিকার দায়িত্বভার বুঝে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি
কাজ চালিয়ে যেতে পারেন ।
রাজ্যসভা
(Rajya Sabha) :
v সর্বাধিক আসন সংখ্যা ২৫০ যার মধ্যে সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা ও
সমাজ সেবা বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অথবা ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা আছে এমন ১২ জনকে রাষ্ট্রপতি
সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন ।
v বর্তমান সংসদ আইন পাস করে ২৩৩ টি আসন
রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলি থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে । তাই বর্তমানে রাজ্যসভার
মোট সদস্য সংখ্যা ২৪৫ ।
v সমস্ত রাজ্য এবং দিল্লি ও পন্ডিচেরি
এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিগণ রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন ।
v প্রত্যেক রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত
সদস্যদের একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট দ্বারা সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব দ্বারা রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব
স্থির করা হয় । (রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব জনসংখ্যার ভিত্তিতে স্থির হয় )
v রাজ্যসভায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের
কোন আসন বরাদ্দ নেই ।
v রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার যোগ্যতাঃ
(ক) ভারতের নাগরিক
হতে হবে ।
(খ) ৩০ বছর নূন্যতম
বয়স হতে হবে ।
(গ) যেখান থেকে তিনি
নির্বাচিত হতে চান, সেই রাজ্যের লোকসভার সদস্য হতে হবে ।
(ঘ) অন্যান্য যোগ্যতা
যা সংসদ সময়ে সময়ে নির্ধারণ করবে ।
v রাজ্যসভার সদস্যদের কার্যকাল ৬ বছর
। প্রতি দুই বছরে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করেন ।
v উপরাষ্ট্রপতি হলেন পদাধিকারবলে রাজ্যসভার
সভাপতি । যখন তিনি রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতে উক্ত পদে শূন্য তার জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে
কার্য সম্পাদন করেন সেই সময় বাদে অন্য সময় তিনি রাজ্যসভার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন
।
v রাজ্যসভার সদস্যরা নিজেদের মধ্যে থেকে
একজন ডেপুটি চেয়ারম্যান কে নির্বাচিত করেন ।
v রাজ্যসভায় অর্থবিল ও বাজেট বিল ছাড়া
অন্য যে কোন বিল উত্থাপন করা যায় ।
আজকের PDF টি ডাউনলোড করতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন - Download PDF Click Here ।